This course is aimed for brothers and sisters with former or current Madrasah or Arabic background. Minimum qualification is Junior Dakhil/Class 8/Hidayatun Nahw equivalent.
What skills will you gain from the course?
To complete the basic levels in all four skills of the Arabic language: listening, speaking, reading, writing
To be able to understand the general meaning of the Quran and Hadith and translate them easily
To read and understand any basic classical or modern Arabic book or passage without diacritics (harakat).
Special practices on freehand Arabic writing.
Special practices on Standard Arabic speaking..
Class System
Online classes, conducted live through Zoom application.
Every student must be present during the classes. Classes are recorded only for internal review purposes, and no class record will be provided to any student unless someone had an absolute emergency and took a leave of absence beforehand.
Course materials
The materials used in instruction are uniquely and specifically designed and organised for this course. The materials include our own research-based book, lecture sheets, and excerpts of original texts. Students are prohibited from sharing the materials with anyone outside Sibawayh.
Tk. 7,000 (Students may avail ~15% discount and pay only Tk. 6,000).
You may pay the whole amount up front, or pay in 2 (two) installments. If you opt for 2-installments, you need to pay at least Tk. 5,000 (or Tk. 4,000 for students) as first installment at admission time.
Course Features
Duration : 10 Months (2 Semesters)
Lectures : Total 120 Classes
Time : 3 Days/Week, 2 Hours Per Class
Exam : Assessments and exams are held after every 12/14 classes (total of 6 exams covering all 4 language skills).
Certificate : Students achieving a minimum of 60% in all exams will be provided a certificate.
Click here to get the free registration form. If you register now, you will be notified later when the admission deadline is approaching to finalize your payment.
ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন ভাষা শিখে তারপর সেই ভাষায় গল্প, কবিতা ইত্যাদি ইত্যাদি লিখা আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল। আস্তে আস্তে প্রয়োজনের তাগিদে ইংরেজী শি...ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন ভাষা শিখে তারপর সেই ভাষায় গল্প, কবিতা ইত্যাদি ইত্যাদি লিখা আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল। আস্তে আস্তে প্রয়োজনের তাগিদে ইংরেজী শিখা তারপর আরবি শিখার প্রচেষ্টা। মাদ্রাসায় সেই ছোট বেলা থেকে পড়াশোনা করছি, কিন্তু আমাদের মাদ্রাসাগুলোর আরবি শিখানো আর আমাদের শিখার সীমানা টা ছিল শুধু মাত্র সিলেবাসের মধ্যে, অথবা পরীক্ষায় একটু ভালো রেজাল্ট এর জন্য। সবচেয়ে বেশি ভয় পেতাম সরফ-নাহু অর্থাৎ আরবি সাবজেক্টটা।
প্রায় দুই বছর থেকে চেষ্টা করে আসছিলাম যে ইংরেজী ভাষার মতো আরবি ভাষাটা ও নিজের চেষ্টায়, ইউটিউব দেখে, বই পড়ে শিখে নেব। কিন্তু আমি অবশেষে আরবি ভাষা শিখার কোন সহজ আর সুন্দর সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে গেলাম।
আর আরবি ভাষা শিখার আশা ছেড়ে দিলাম চিরদিনের মত।ভেবে নিলাম এটাতো বড় বড় আলিম,মুফাসসীর আর শায়েখদের জন্য। আমার মতো ছোটখাটো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আরবি ভাষা শিখাটা শুধু মাত্র বইয়ের ভিতরে সীমাবদ্ধ।
একজন পরিচিত লোকের মাধ্যমে জানতে পারলাম সিবাওয়াই নামের সে মহান প্রতিষ্ঠানের নাম। ফেসবুক এ গিয়ে অনেক রিভিউ দেখলাম যা আমাকে অবাক করে দিল। যে জেনারেল যারা তারা আরবি এতো ভালোভাবে শিখতে পারছে আমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হয়ে তো আরও ভালো পারবো ইনশাআল্লাহ। এডমিশন নিলাম সিবাওয়াইয়ে। আর সিবাওয়াই আমার আরবি ভাষা শিখার পুরো ধারণা বদলে দিলো। যে আমি আরবি ভাষাকে ভয় পেতাম, কঠিন মনে করতাম, সে আমাকে সিবাওয়াই আরবি যে কত সহজে শিখা সম্ভব আর তা কত সহজ- মধুর ভাষা তা প্রমাণ করে দিলো। আগে আরবি কোন একটা পোস্ট বা কবিতা দেখলে এভোইড করতাম, মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগতো। কারণ আমি কিছু বুঝতাম না। কখনও হয়তো সাবটাইটেল দেখে আফসোস করতাম ইশ! আজ যদি আরবি ভাষাটা বুঝতে পারতাম কতই না ভালো হতো। কিন্তু সেই আমি আজকে আরবি ভাষায় কথা বলতে পারি, আরবি ভিডিও দেখলে ভালো বুঝতে পারি, আরবি ভাষায় কবিতা লিখি, সবচেয়ে বড় নেয়ামত স্বরূপ কোরআন শরীফ আর হাদীস শরীফের অর্থ বুঝতে পারি যা মনে এক প্রশান্তি বয়ে নিয়ে আসে।
আমাদের শ্রদ্ধেয় উস্তাজ মহোদয় নাজমুল হাসান এর লিখিত বই" দারসূল লূগাহ আল আরাবিয়্যাহ" রচনা আমাদের মতো হতাশ মানুষদের আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলে ওঠেছে। আর আরবি ভাষা যে কতটা সহজে আয়ত্ত করা যায় তা প্রমাণ করে দিয়েছে। বইটির মধ্যে ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা বিষয়ের উপর বিশ্লেষণ, তারপর সুন্দর-সহজ অনুবাদ ,পেসেজ, কথোপকথন এর প্রেক্টিস যেন কঠিন থেকে কঠিনতর সমস্যাগুলোর সমাধান করে আরবি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। যেদিন ক্লাসে মা'রেফা-নাকেরা পড়ানো হলো ওইদিন মনে হয়েছিল যে আরবি ভাষার গভীরে ডুব দিয়েছি। প্রথম প্রথম অনেকটা সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু আস্তে আস্তে করে গভীর মনোযোগ আর পরিশ্রমের ফলে অনেকটা ভালো পারফরমেন্স করতে শুরু করলাম।
আ'দাদ-মাউদূদ (আরবি সংখ্যা)সম্পর্কে অনেককেই বলতে শুনেছি যে সবকিছু তো সহজ মনে হচ্ছে আ'দাদ-মাউদূদ আসলে বুঝতে পারবা আরবি আসলে কতটা কঠিন।
সত্যিই ভয়ে ছিলাম । কিন্তু,আলহামদুলিল্লাহ সিবাওয়াইয়ের সে মহান গ্রন্থ "দারসূল লূগাহ আল আরাবিয়্যাহ" বইটির মধ্যে সবকিছু এতো সহজ করে বিশ্লেষণ আর প্রেক্টিস দেয়া যে, মনে মনে বলতে লাগলাম এতো সহজ বিষয়টাকে কেন মানুষ এতো ভয় পায়?! যারা বলেছিল তাদের কয়েকজনকে বললাম আ'দাদ-মাউদূদ তো খুব সহজ জিনিস আমি তো কোন সমস্যা বা কঠিন কিছু দেখিনি। তারপর তারা দেখে বললেন যে আরে এখানে সত্যিই এতো সহজ করে সব বিশ্লেষণ করা এরকম তো আমরা শিখিনি বা অন্য কোথাও এরকম সহজ কৌশলে ব্যাখ্যা করা থাকে না। শুধু আ'দাদ-মাউদূদ ই না বরং আরবি ব্যাকরণ এর প্রত্যেকটা বিষয়ে এই বইয়ের মধ্যে খুব সহজেই উস্তাজ তুলে ধরেছেন।
💬আমাদের OM-14 ব্যাচ এর উস্তাজ ছিলেন হোসাইন আহমাদ।
উস্তাজের গভীরভাবে, ধৈর্য্যের সাথে আমাদের জন্য যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন,হয়তো তা না হলে আমাদের আরবি শিখা টা কঠিন হয়ে যেতো। উস্তাজ অনেক সহজ সুন্দরভাবে আমাদের প্রতিটি বিষয় বুঝিয়ে দিতেন, পাশাপাশি অনেক সমস্যা সমাধান প্রকল্পে বিভিন্ন নোট আমাদেরকে কখনও নিজে লিখেও দিতেন। কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে ব্যক্তিগত ভাবেও উস্তাজের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।
উস্তাজ নাজমুল হাসান মহোদয়ের সাথে সর্ব প্রথম ক্লাস এবং আরও একটি কম্বাইন্ড ক্লাস করার সুযোগ হয়েছে। কোন সমস্যা ফেইস করলে আমাদের উস্তাজের পাশাপাশি নাজমুল হাসান উস্তাজের ও অনেক বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাজ মহোদয়গণের নিকট আমি অসংখ্য সহযোগিতা সাথে আমাদের আরবি শিখার যাত্রাটা সহজ করে দেয়ার জন্য চিরঋণী হয়ে থাকবো।
সিবাওয়াই এ অনেক আপুদের সাথে পরিচয় হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ দুই একজন আপু ছাড়া প্রত্যেকের সঙ্গে আমার ভালো পরিচয় ছিলো। এর মধ্যে বিশেষ করে জারিন আপু আমাদের যিনি গ্রুপ লিডার ছিলেন উনার নাম না বললেই নয়, আপু আমাকে ছোট-বড় বিষয় যাই হোক না কেন খুব ভালো করে বুঝিয়ে দিতেন। একটা বিষয় যা না বললেই নয়, আমার মা-বোনেরা যারা কোরানের ভাষা শিখতে চান, আপনি জেনারেল অথবা মাদ্রাসা বেগ্রাউন্ড এর হোন না কেন,আপনারা নির্দ্বিধায় সিবাওয়াই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। আমার অভিজ্ঞতা বলে এরকম সুন্দর প্রাইভেসি বজায় রেখে অন্য কোথাও হয়তো আপনি অনলাইন ক্লাস করার সুযোগ পাবেন না।
যারা সিবাওয়াইয়ে এডমিশন নিতে যাচ্ছেন তাদের আমি বলবো, এরকম সুন্দর আর সহজে কোথাও আরবি ভাষা শিখার সুযোগ আপনারা পাবেন না। যদি মনযোগ আর ধৈর্য্যের সাথে ক্লাস গুলো করেন, হোমওআর্ক আর সব কিছু আয়ত্ত করে নিতে পারেন। আমি বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি আপনি কোর্স শেষে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে এ কথাই বলব,যে সিবাওয়াই আরবি ভাষা শিখার পথটাকে এতো সহজ আর প্রাণবন্ত করেছে তা যেন যূগে যূগে আরও উন্নত হয় আর আমার মতো হতাশ মানুষদের আশার আলো হয়ে থাকে। যারা এই সিবাওয়াইয়ের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন আল্লাহ যেন উনাদের এ কাজ কবুল করেন। আর এর মাধ্যমে অসংখ্য কোরানের পাখি তৈরি হয়।
Md. Junaidur Rahman
Business Analytics, University of Wollongong
প্রথমেই সম্মানিত উস্তাজের (শরিফুল ইসলাম সজীব) প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।আরবী ব্যাকরণের জটিল বিষয়গুলো তিনি সহজে বুঝিয়ে পড়িয়েছেন। পুরো জার্নি জুড়ে উস্তাদের...প্রথমেই সম্মানিত উস্তাজের (শরিফুল ইসলাম সজীব) প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।আরবী ব্যাকরণের জটিল বিষয়গুলো তিনি সহজে বুঝিয়ে পড়িয়েছেন। পুরো জার্নি জুড়ে উস্তাদের ধৈর্য্য এবং আন্তরিকতা প্রশংসনীয়। উস্তাজ নাজমুল এবং টীম সিবাওয়াইহ একটা দীর্ঘদিনের জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন এবং সে জন্য তাদেরকে আল্লাহ পাক উত্তম জাযা দিন। আরবী ভাষা শেখানো সকল ইন্সটিটিউট এবং ইন্সট্রাক্টরদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি বাংলা ভাষায় সাধারণের বোধগম্য এমন আরবী ভাষা শেখার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আর নাই।জটিল কোন ব্যাকরণগত টার্ম ব্যাবহার না করে, অপ্রয়োজনীয় বিষয় এড়িয়ে গিয়ে, আরবী ব্যাকরণ শিক্ষার ট্র্যাডিশনাল পথে না হেঁটে সিবাওয়াইহ যা করেছে তা এক কথায় যুগান্তকারী! গ্রাউন্ডব্রেকিং!
নিম্ন-মধ্যম মেধার একজন শিক্ষার্থী হিসাবে অতীতে আমার আরবী গ্র্যামার শিক্ষার অভিজ্ঞতা খুব খারাপ।এত জটিলতা আমার কোন কালেই ভাল লাগেনি।জটিল জটিল সব টার্ম, ভারী ভারী সব শব্দ!গাদা গাদা সব বই! উফ্ফ্!সিবাওয়াইহ আমাকে এসব থেকে মুক্তি দিয়ে আমার মতো করে আমি যেভাবে চাইতাম ঠিক সেভাবে আরবী গ্র্যামার শিক্ষার বদ্ধ দুয়ার খুলে দিয়েছে। হ্যাটস অফ, সিবাওয়াইহ। জটিল বিষয় সাধারণের বোধগম্য করে প্রেজেন্ট করাই আর্ট।ক্লাসের প্রথম দিন থেকেই আমি লেসনগুলো ধরতে পারছিলাম।যা পড়েছি তাই বুঝেছি, আলহামদুলিল্লাহ্।সিবাওয়াইহ যেমন সহজ মেথড, উস্তাজ সজীব ও তেমন সহজ মানুষ। কোন জটিলতা নাই।এমন কম্বিনেশানে মানুষ পড়া বুঝবে না এমনটা হতেই পারেনা।
এই কোর্স শেষ করার মাধ্যমে জার্নি কেবল শুরু হলো।সামনে লম্বা পথ বাকি।এডভান্স লেভেলে কনটেম্পরারী এরাবিক শেখাটাই লক্ষ্য।সময় সাপেক্ষ বাট এচিভেবল ইন শা আল্লাহ্। উস্তাজের পড়া এবং সিবাওয়াইহ'র মেথড সেই কনফিডেন্স দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্। মজার বিষয় হচ্ছে আমি এখন আল জাজিরা, বিবিসি এরাবিক পড়ার সাহস করছি! এটা উস্তাজ সজীবের পরিশ্রমের ফল এবং সিবাওয়াইহ'র ম্যাজিক।
আমার ছোট্ট একটা আশা হচ্ছে সিবাওয়াইহ'র এই মেথড সব মাদ্রাসায় পঠ্যভুক্ত হোক।তাতে করে ছাত্রছাত্রীরা অল্প দিনে আরবীটা আয়ত্ত করে ফেলতে পারবে, বছরে পর বছর অনর্থক সময় নষ্ট করা লাগবে না এবং অন্য বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারবে।তাতে তাদের ধর্ম শিক্ষা যেমন বেগবান থাকবে পাশাপাশি অন্যান্য ডিসিপ্লিনে ও তারা সমানতালে এগিয়ে যেতে পারবে। মাদ্রাসা ছাত্ররা আরবী পারে না সেই দুর্নাম আর থাকবেনা কিংবা থাকবে না ইংরেজি, ম্যাথস কিংবা বিজ্ঞান পারেনা সে দুর্নাম ও।
এতো গেলো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কথা।স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ও সিবাওয়াইহ একটা আশার আলো।জাস্ট এরাউন্ড একটা বছর পার্ট টাইম সিবাওয়াইহর এ কোর্সে সময় দিলে এই অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই ভাষাটি শিক্ষার পাশাপাশি আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের (দূরুদ) সাথে জুড়ে থাকার পথটা সহজ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ্।
আবার ও সম্মানিত উস্তাজ সজীব এবং সিবাওয়াইহ'র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।উস্তাজ ব্যাক্তিগত, একাডেমিক এবং প্রফেশনাল জীবনে সফলতার স্বর্ণশিখরে আরোহন করুন। সিবাওয়াইহ আরো সমৃদ্ধ হোক।ঘরে ঘরে ছড়িয়ে যাক।জনে জনে ছড়িয়ে যাক। সবশেষে OM-19 ব্যাচের ব্যাচমেটদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।সবাই যেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত হোন, স্বমহিমায় এগিয়ে যান সেই শুভ কামনায়।
Md. Imran Ali
Student, University of Rajshahi
আমি মো. ইমরান আলী, সিবাওয়াই ইন্সটিটিউটের OM-19 ব্যাচের একজন ছাত্র। আমি এক বিশৃঙ্খল শিক্ষাজীবনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষার পর দাখিল মাদ্রাস...আমি মো. ইমরান আলী, সিবাওয়াই ইন্সটিটিউটের OM-19 ব্যাচের একজন ছাত্র। আমি এক বিশৃঙ্খল শিক্ষাজীবনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষার পর দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি হই, সেখান থেকে দাখিল সম্পন্ন করি। এরপর জেনারেল শিক্ষার দিকে ঝুঁকি এবং এইচএসসি সায়েন্সে পড়াশোনা করি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম নিয়ে বিএসএস ও এমএসএস সম্পন্ন করি।
শিক্ষাজীবনের মাদরাসা পর্যায়ে কিছুটা আরবি শেখার সুযোগ পেলেও আরবি ভাষা আমার কাছে সবসময় কঠিন মনে হতো। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শেষের দিকে ইসলাম নিয়ে আগ্রহী হতে থাকি। আলেম-ওলামাদের বক্তব্য শুনতাম, কুরআন ও তার অনুবাদ পড়তাম, কিন্তু আমার মনে সেই গভীর তৃপ্তি আসত না। একদিন এক পাকিস্তানি স্কলারের বক্তব্য শুনলাম, যেখানে তিনি বললেন: "আপনি যদি কুরআনের অনুবাদ পড়েন, তবে আপনি আল্লাহর সাথে কথা বলছেন না। আপনি অনুবাদকের সাথে কথা বলছেন। যদি আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলতে চান, তবে আরবি শিখুন।" এই কথাটি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিল। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম, যেকোনো কষ্ট স্বীকার করে হলেও আরবি শিখতেই হবে।
প্রথমে নিজের চেষ্টায় শুরু করলাম। ইন্টারনেট থেকে আরবি বই ও ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে শেখার চেষ্টা করলাম, কিন্তু ফলাফল খুবই হতাশাজনক ছিল। তখন বুঝতে পারলাম, সঠিক গাইডলাইন ছাড়া সম্ভব নয়। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডেমো ক্লাস দেখতে থাকি। এক পর্যায়ে পেলাম সিবাওয়াই ইন্সটিটিউট (আলহামদুলিল্লাহ্)। তাদের ডেমো ক্লাস দেখে মুগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়ে যাই। প্রথম ক্লাসেই উস্তায শরিফুল ইসলাম সজীব তার অসাধারণ বোঝানোর দক্ষতা দিয়ে আমাদের মন জয় করে নেন। তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ক্লাস নিতেন এবং প্রতিটি ছাত্রের অগ্রগতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতেন। আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন।
সিবাওয়াই ইন্সটিটিউটের পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আলাদাভাবে বলতেই হয়। আমি আরবি ভাষা শেখার জন্য বাংলা ও ইংরেজি অনেক বই পড়েছি, কিন্তু এমন অসাধারণ এবং সহজবোধ্য বই আমি আগে দেখিনি। বইটির সহজ বর্ণনা এবং অসংখ্য প্র্যাকটিস আমাকে বাস্তবিকভাবে আরবি ভাষায় দক্ষ হতে সাহায্য করেছে। আলহামদুলিল্লাহ্, বেসিক কোর্স শেষ করার পর এখন আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে কুরআন ও হাদিস পড়তে পারি। আরবি ভাষার প্রতি ভয় এখন আর নেই। তাই, আমি সকলকে বলব, যদি আরবি ভাষা শেখার ইচ্ছা থাকে, তাহলে দেরি না করে সিবাওয়াই ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়ে যান। তাদের ক্লাস এবং সঠিক গাইডলাইনের মাধ্যমে আপনি হতাশ হবেন না। নিয়মিত ক্লাস ও প্র্যাকটিস করলে অবশ্যই আরবি ভাষা আয়ত্ত করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্।
আমার হৃদয়ের গভীর থেকে দোয়া করি, আল্লাহ সিবাওয়াই ইন্সটিটিউটকে দীর্ঘজীবী করুন এবং এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উত্তম প্রতিদান দিন। বিশেষ করে আমার উস্তায শরিফুল ইসলাম সজীবকে নেক হায়াত দান করুন এবং তাকে হক ও দীনের জ্ঞানে পরিপূর্ণ করুন। আমিন।
Alim 1st Year, Tamirul Millat Kamil Madrasha, Tongi
আমার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই আমি আলিয়া মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী। শিক্ষাজীবনের ১০ বছর পার হওয়ার পরেও আমার আরবির জ্ঞান ছিল শূন্যের মত, আর আরবি শেখার...আমার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই আমি আলিয়া মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী। শিক্ষাজীবনের ১০ বছর পার হওয়ার পরেও আমার আরবির জ্ঞান ছিল শূন্যের মত, আর আরবি শেখার আগ্রহও ছিলনা। মাদ্রাসায় পড়াশোনার পরেও জ্ঞান শূণ্য হওয়ার কারণ হলো আমার এই দশ বছরে আরবি যে পরীক্ষা দিতে হয়েছে তার সবকিছুই আমি মুখস্থ করে দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ দশ বছর পরে হলেও আল্লাহ আমাকে বোঝার তৌফিক দিয়েছে যে আমার জীবন এভাবে চললে হবে না, আল্লাহর দ্বীনের জ্ঞান জানতে হবে আমাকে।আমি খুব ছোটবেলায় একটা হাদিস মুখস্থ করেছি- طلب العلم فريضة على كل مسلم
অর্থাৎ, জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ।
এই হাদিসে দ্বীনের যে জ্ঞানের কথা বলা আছে,আমি ভাবতাম আমি মাদ্রাসায় যা পড়ছি তাতেই আমার এই জ্ঞান অর্জিত হয়ে যাচ্ছে। দশ বছর পরে এসে আমি বুঝতে পারলাম যে আমি দ্বীনের কিছু শিখতে পারিনি।পরে বুঝলাম আমার সর্বপ্রথম আরবি ভাষা শিখতে হবে কারণ দ্বীনের মূল কুরআন, হাদিস সবকিছুরই ভাষা আরবি। আমার এক বান্ধবীর থেকে আমি সিবাওয়াই এর সন্ধান পাই। আমার দাখিল পরীক্ষার পর ভর্তি হলাম সিবাওয়াই এর আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্সে। শুরু হলো আমার আরবি শেখার অন্যরকম পথচলা।
উস্তাজ নাজমুল হাছান এর লেখা আরবি ভাষা পাঠ বইটির সবথেকে ভালো ব্যাপারটি হলো এই বইয়ে থাকা অনেক বেশি অনুশীলন। সাধারণত নতুন ভাষা শেখার ক্ষেত্রে নতুন শব্দ মুখস্থ করার পর ভুলে যাওয়া একটা পরিচিত সমস্যা। কিন্তু এই বইয়ের বেশি অনুশীলন এর জন্য নতুন শব্দ মুখস্থ করার পর তা আর ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। অনলাইন হওয়া স্বত্বেও আর একটা বিষয় অসাধারণ,তা হলো সিবাওয়াই এর নিয়মিত ক্লাস করার বাধ্যবাধকতা।এর ফলে কোনো যথাযথ কারণ ছাড়া ক্লাস বাদ দেয়া যায় না, যা পড়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে।
আমার ওস্তাদ ছিলেন Shariful Islam ।
আমার শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল ওস্তাদের। সবসময় আমাদের সাহস দিয়েছেন তিনি। তিনি ছিলেন আমার জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। যেকোনো বিষয় ওস্তাদ আমাদের সবাইকে খুব সহজ ভাষায় বুঝিয়েছেন, আমার কখনো মনেই হয়নি যে যেই আরবি গত দশ বছর আমার কাছে ছিল সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলোর একটি, সেই আরবি ভাষাই আমি শিখছি। আমরা যখন الاضافة পড়া শেষ করলাম তখন আমরা আরবি বাক্য লিখতাম। যখনই আমি আরবি বাক্যগুলো লিখতাম প্রতিবারই আমার মন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠতো। আমার বিশ্বাসই হতো না যে আমি দশ বছর আরবি পড়ার পরেও যার চিন্তা আমি করতে পারিনি,এই কয়দিন শেখার পরেই আমি এখন তাই করতে পারছি। ওস্তাদের ব্যবহার এবং জ্ঞান,দুই ই আমাকে বার বার মুগ্ধ করেছে।বিশেষত যখন আমাদের কুরআন ক্লাস শুরু হলো ওস্তাদ এত সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন যে আমার পরীক্ষা চলা স্বত্বেও আমি ক্লাস বাদ দিতে পারিনি।মনে হতো এই ক্লাস বাদ দিলাম মানেই আমি কতকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো।
আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া যে আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করেছেন এবং সিবাওয়াই এর সাথে আমাকে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।আর সিবাওয়াই এর কাছে আমার অসীম কৃতজ্ঞতা আমাদের জন্য এমন আয়োজন করার জন্য। আল্লাহ সিবাওয়াই কে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিক আর ওস্তাদের জন্য আল্লাহর কাছে এই দোয়া যে আল্লাহ তার দ্বীনের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করুন এবং তার ভুলগুলো ক্ষমা করে তাকে মৃত্যু পর্যন্ত দ্বীনের পথে চলার তৌফিক দান করুন।
আমি মাদ্রাসায় দশ বছরে যা শিখিনি সিবাওয়াই তে আমি তার চেয়ে অনেক বেশি শিখেছি। আমার মনে হয় আমার দ্বীন শেখার শুরু হয়েছে মাত্র আর এই যাত্রার শুরুই আমার সিবাওয়াই এর মাধ্যমে। আমার জীবনে সিবাওয়াই এর সাথে পথচলা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Abdullah Al Minhaz
Dept. of Arabic, University of Dhaka
সিবাওয়াইহ,আরবি ভাষা চর্চায় এক বিপ্লবের নাম : ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা
কুরআন, হাদীস ও ইবাদতের ভাষা হওয়ায় আরবির প্রতি আমাদের সবার বিশেষ আগ্রহ ও ভাল...সিবাওয়াইহ,আরবি ভাষা চর্চায় এক বিপ্লবের নাম : ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা
কুরআন, হাদীস ও ইবাদতের ভাষা হওয়ায় আরবির প্রতি আমাদের সবার বিশেষ আগ্রহ ও ভালোবাসা কাজ করে। আরবি শেখার প্রবল আগ্রহ নিয়ে মাদরাসায় পড়েছি দীর্ঘ দিন। নিজের অবহেলা ও সিস্টেমের সমন্বয় না থাকায় অধিকাংশ ছাত্রের মতো আমারও আরবি ভাষা শেখাটা অধরাই থেকে যায়। মাদরাসা জীবন শেষ করে ভাগ্যচক্রে ইউনিভার্সিটিতে আমার গন্তব্য হয় আরবি বিভাগ। বেসিকে সমস্যা থাকায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়ি। উপরন্তু স্যারদের আরবিতে দেয়া লেকচার গুলো বোঝা হয়ে চাপতে থাকে। ঠিক সে সময় ঘনীভূত অন্ধকারে আশার আলো হয়ে ধরা দেয় আমাদের সকলের আবেগের জায়গা,আরবি শেখার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান "সিবাওয়াইহ"।
এরপর চলতে থাকে ৬ মাসের দীর্ঘ এক জার্নি। মাদরাসায় আরবি (গ্রামার) পড়েছি। তবে তা ছিলো অবিন্যস্ত,একঘেয়েমি ও অনেকটা বিরক্তিকর। আরবি শেখাটাও যে একধরনের আর্ট হতে পারে,হতে পারে আনন্দদায়ক, তা একমাত্র সিবাওয়াইহ করে দেখিয়েছে। বিশেষ করে আ'দাদ ও গায়রে মুনসারিফ এভাবে শেখা যায়!! অবিশ্বাস্য!! এছাড়া নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি (যদিও আমি তেমন একটা করতে পারি নি), হোমওয়ার্ক না করলে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার ভয়, ক্লাসে রেসপন্স করার বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি রেসপন্সিবিলিটি সিবাওয়াইকে বিশেষায়িত করেছে।
বিশেষভাবে আমাদের উস্তাদ, ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই, Yeasir Mahmud ভায়ের এর কথা বলতেই হয়। একজন আদর্শ শিক্ষকের ধৈর্য কেমন হওয়া উচিত তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ প্রিয় বড় ভাই। একইসাথে আরবি বিভাগ,কওমি মাদরাসা ও বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে (অনলাইন) অধ্যায়নের পাশাপাশি সিবাওয়াইতে ক্লাস নিয়েছেন। রাতে ক্লাস নেয়ার সময় সারাদিনে ব্যাস্ততার সমান্যতম ছাপও দেখিনি। প্রত্যেক স্টুডেন্টকে ইনডিভিজুয়ালি বুঝানোর ধৈর্য ক্ষমতা নিশ্চয় সব শিক্ষকের থাকে না। অশেষ কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক। আমিন।
সিবাওয়াইতে পড়লে কেউ বড় ভাষাবিদ হয়ে যাবে এমন নয়। ৬ মাসে এটা সম্ভবও না। তবে এ স্বল্প সময়ে আরবি ভাষার টেক্সট বুঝে পড়া ও শুনে বুঝার সক্ষমতা দিবে সিবাওয়াইহ। শর্ত একটাই,সিবাওয়াইর ডিরেকশন অনুযায়ী পরিশ্রম করা।
উস্তাদ নাজমুল হাসানসহ যারা এমন চমৎকার, সহজবোধ্য ও আরবি শেখার যুগান্তকারী প্রতিষ্ঠান সিবাওয়াইহ প্রতিষ্ঠা করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সবশেষে দোয়া করি,প্রিয় সিবাওয়াইহ তার হাজারো শিক্ষার্থীর ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে চলুক দিক থেকে দিগন্তে। হাজার থেকে লাখে,লক্ষ থেকে কোটি প্রাণে ছড়িয়ে পড়ুক তার গতিময়তা।
Misbahul Abedin Tamim
History, Jagannath University
আমাদের দেশের আলিয়া মাদ্রাসাগুলোতে আরবি ভাষাকে শুধুমাত্র পরীক্ষার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলস্বরূপ,ইবতেদায়ী থেকে আলিম- ফাজিল পর্যন্ত আরবি সাহিত্য...আমাদের দেশের আলিয়া মাদ্রাসাগুলোতে আরবি ভাষাকে শুধুমাত্র পরীক্ষার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলস্বরূপ,ইবতেদায়ী থেকে আলিম- ফাজিল পর্যন্ত আরবি সাহিত্য ও আরবি ব্যাকরণ দুইটা বিষয় থাকা স্বত্বেও ছাত্রদের বিরাট একটি অংশ আরবির আধুনিক ব্যবহার কিংবা কুরআন ও সুন্নাহর ভাষা হিসেবে আরবি ভাষা বুঝতে পারে না।
ছোট বেলা থেকে আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ার কারনে আরবি ভাষার বেসিক নলেজ মোটামুটি ভাল ছিল। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো মার্কস আনতেই সক্ষম ছিল। আরবিতে কথা বলতে না পারা, ইবারত পড়তে না পারা, এই কষ্ট গুলো বারবার নাড়া দিত। এছাড়াও কুরআনের হিফজ করার পর কুরআন অর্থ বুঝার আগ্রহ থেকেই আরবি ভাষা জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হয়। সেই আগ্রহ থেকেই আরবি শেখার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। কখনও ব্যাক্তিগত ভাবে মীযান ও নাহুর বই পড়ার চেষ্টা, কখনও প্রাইভেট-টিউশন, কিন্তু গতানুগতিক একঘেয়েমি নিয়মের কারণে ও শয়তানের ওয়াসওয়াসার কারণে কিছুদিন পর বিছিন্ন হয়ে যায়।
আলিমে ভর্তি হওয়ার পর সিবাওয়াই ইনস্টিটিউটের সাথে পরিচয় হয়। দারুননাজাত মাদ্রাসার পাশে সম্ভবত তাদের একটি শাখায় এক পরিচিত ছাত্রভাই অফলাইনে ক্লাস করতেন। তার মাধ্যমে তাদের আরবি কোর্সের সম্পর্কে জানতে পারি এবং বিস্তারিত খোঁজ- খবর নেয়। তখনই সিদ্ধান্ত নেয়, সিবাওয়াইয়ের আরবি ভাষা কোর্সে ভর্তি হব। কিন্তু করোনার কারণে সেই সময়ে আর সুযোগ হয় নাই। করোনা- পরবর্তী সময়ে সিবাওয়াই সম্ভবত পুরোপুরি অনলাইনে তাদের ক্লাস পরিচালনা শুরু করে। আমার আগ্রহ ছিল, অফলাইনে শিখার তাই তখন অনলাইনে ভর্তি হয় নাই। আশা ছিল অফলাইনে চালু হলে তখন ভর্তি হব। সর্বশেষ ২০২৪ সালে মনস্থির করি অনলাইনেই ভর্তি হব।
সিবাওয়াইয়ের অনলাইন কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর অনলাইন কোর্স সম্পর্কে আমার ধারণা পুরাপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়। অনলাইনে এতটা interactive ক্লাস করা সম্ভব, সিবাওয়াইয়ে ক্লাস না করলে বিশ্বাসই হত না। সিবাওয়াইয়ের নিজস্ব পাঠ্যবই আরবি ভাষা পাঠ ও প্রাণবন্ত ক্লাসের কারণে প্রথম ক্লাস থেকেই আরবি ভাষা শেখার আগ্রহ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাদের বইয়ের বিশেষত্ব হচ্ছে, ব্যাকরণের নিয়মনীতির বাহিরে অনুশীলনের মাধ্যমে আরবি শেখানো। যার ফলে প্রথম ক্লাস থেকেই আরবি ইবারত পড়ার মজা অনুভব করি। এছাড়াও উস্তাযের শাসন এবং ক্লাসে নিয়মিত পাঠ আদান-প্রদানের ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আরবি ভাষা শেখার কঠিন পথ অনেকটা সহজ ও সাবলীল হয়ে পড়ে।সিবাওয়াইয়ে নিয়মিত ক্লাস করা বাধ্যতামূলক।সাধারণত,প্রচলিত অনলাইন কোর্স সমূহে প্রত্যেক ক্লাসের রেকর্ড শেয়ার করা হয়। যার ফলে লাইভ ক্লাস করার ক্ষেত্রে অলসতা তৈরি হয় এবং শেখার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়। সিবাওয়াই ক্লাসের ছুটি না নিলে লাইভ শেয়ার করে না। তাই নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না করলে পড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। তার উপর ক্লাসে জবাবদিহিতার কারণে যে কোন শিক্ষার্থী তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বাধ্য হয়,যা ভাষা শিখার জন্য আবশ্যক। আমাদের OM-22 ব্যাচের উস্তাদ ছিলেন উস্তাদ Saimul Haque Jawad । (আল্লাহ উনার ইলম ও হায়াতে বারাকাহ দান করুন) আরবি ভাষার মুবতাদি লেভেলর ছাত্রদের জন্য যে শাসন ও ভালোবাসা প্রয়োজন তার পুরোপুরি উস্তাদের মাঝে ছিল। রমজান মাসে আমাদের ক্লাস হত ফজরের পর। উস্তাদ মিশর থেকে আমাদের ক্লাস নিতেন, তখন মিশরের সময়ানুযায়ী রাত দেড়টা- দুইটা। তারপরও আমাদের দিক বিবেচনা করে উস্তাদ সিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিন ক্লাস নিতেন। উস্তাদের অনুরাগ,শাসন ও সহজ ও সাবলীল পাঠদানের ফলে অতি সহজেই আরবি ভাষা কোর্সের শেষ পর্যায়ে এসে পৌছায়।
সিবাওয়াইয়ের কোর্স থেকে সবচেয়ে বড় যে প্রাপ্তি তা হচ্ছে, কুরআনের অর্থ ধরতে পারা। এই রমজানে তারাবীহর সালাতে যখন কুরআন তিলাওয়াত করতাম তখন এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করত। যদিও কুরআন ভাষা বোঝার জন্য আরবি ভাষার যে গভীর জ্ঞান প্রয়োজন তা এখনও অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। সেটার জন্য এডভান্স লেভেলের কোর্স প্রয়োজন। তবে মোটামুটি ধরতে পারতাম রাব্বে কারীমের এই মহান বাণীর ভাবার্থ, যা প্রত্যেক মুসলিমেরই জানার চেষ্টা করা জরুরি।
আল্লাহ তায়ালা সিবাওয়াই ইন্সটিটিউটের সকল উস্তাদদের কবুল কবুল করুন। তাদের মাধ্যমে মাদ্রাসা এবং জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রদের জন্য প্রচলিত নিয়মের বাহিরে সহজ ও সাবলীল পদ্ধতিতে আরবি ভাষা শেখার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে দ্বীনের স্বার্থে এই পথচলা আরও বিস্তৃত হোক, রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়া করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআন ও সুন্নাহের ছাত্র হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
Tasnim Tabassum
Dept. of Al-Hadith & Islamic studies, IAU
একাডেমিক লাইফ থেকেই আরবিকে উপেক্ষা করে গিয়েছি। গৎবাঁধা মুখস্থ করে ৯০+ এমনেই চলে আসত, তাই আরবি ছিল আমার কাছে কাইন্ড অফ অপশোনাল সাব্জেক্ট।
জীবনের মোক্...একাডেমিক লাইফ থেকেই আরবিকে উপেক্ষা করে গিয়েছি। গৎবাঁধা মুখস্থ করে ৯০+ এমনেই চলে আসত, তাই আরবি ছিল আমার কাছে কাইন্ড অফ অপশোনাল সাব্জেক্ট।
জীবনের মোক্ষম সময়ে এসে দ্বীনি বোনদের সোহবতে ধর্মীয় কন্সেপ্টগুলোকে নবরূপে লালন করতে শিখলাম ,দুনিয়ার সবকিছুর পেছনেই যে একজন মুমিনা ছুটতে পারে না সেসব উপলব্ধি করলাম।অতঃপর স্বপ্ন পরিবর্তিত হলো, ভালোবাসা রূপান্তরিত হলো। কালের পরিক্রমায় সেই আল-লুগাতুল আরাবিয়্যাহই এখন আমার ড্রিম সাব্জেক্ট , আরবিতে স্কিল্ড হওয়াই জীবনের ওয়ান অফ দা টার্গেটস ।
ওমা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ।
এজ আ মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড স্টুডেন্ট, যারা জেনারেলের আছেন,তাদেরকে আমি বোঝাতে পারব না এখানে আপনারা কি পেতে যাচ্ছেন! প্রয়োজন শুধু ধারাবাহিকতা মেইন্টেইন করা,দ্যাটস ইট। সিবাওয়াইয়ের বইগুলোর অর্গানাইজেশন সম্পর্কে সহপাঠী আপুকে একবার বলেছিলাম, উই আর অন দা রাইট কোর্স। আরেকটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, কিছুকিছু টপিক রিপিটেডলি মেনশন করে বইটা প্রিপেয়ার করা হয়েছে। যেটা প্রত্যেক লেভেলের স্টুডেন্টদের জন্য খুবই ইফেক্টিভ।
পাশাপাশি ইন্সট্রাক্টর হাশমত উস্তায সূচনালগ্ন থেকেই বাংলা,ইংরেজির কম্বিনেশনে দারুণভাবে দারস দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি বিষয় আমাদের বোধগম্য করে তুলবার জন্য তার প্রচেষ্টা নজিরবিহীন।প্রায়শই উস্তাযকে অবান্তর সব প্রশ্নবাণে বিরক্ত করি,তিনি হরহামেশাই সবরের সাথে উত্তর দিয়ে থাকেন। বারাকাহুল্লহ।
মাদ্রাসায় কখনো এতো ইজিলি রিপ্রেজেন্ট করা হয় না,এতসব উদ্ভট প্রশ্নের জবাবও দেয়া হয় না। এতো ডিটেইল্ড ওয়েতে তাদরিস করানো হয় না। এক্সেপশোনাল থাকতে পারে তবে আমি আমার প্রতিষ্ঠানে পাইনি। তাই আগ্রহও জন্মায়নি কখনো।
ইভেন বোর্ড এক্সামে লিখে এসেছি এরূপ রিলেটেড কিছু টপিকের ইউজেস জানলাম সিবাওয়াইতে এসে, না আসলে হয়তো আনক্লিয়ারই থেকে যেত অনেককিছু।
সর্বোপরি, সিবাওয়াই ইজ আ ব্লেসিং ফর মি। রাব্বুল আরশিল আজিমের কাছে প্রার্থনা করি,তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে দুনিয়া এবং আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দিক।আল্লাহর কালাম অনুধাবনে উদগ্রীব অন্তরসমূহের অভিলাষগুলোকে এভাবেই পূরণ করে চলুক সিবাওয়াই।
বেস্ট উইশেস ফর সিবাওয়াই।